সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোণা১১.১১.২০২২ ইং জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে মাত্র কিছুদিন হলো যোগদান করেছেন সুপার হিরো খ্যাত পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ। গত (২২ আগস্ট সোমবার) নেত্রকোণা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সাবেক পুলিশ সুপার আলী আকবর মুন্সির স্থলাভিষিক্ত হন। ফয়েজ আহমেদ ১৯৭৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর বরিশাল বিভাগের আগৈলঝড়া উপজেলার আম্বুলা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে বিএসএস ও ২০০৩ সালে এমএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০৪ সালে ২৫ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ রেজিস্টাট থেকে টেরিরিজ এন্ড সিকিউরিটিতে এম,এস,সি ডিগ্রী লাভ করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর চাকরি জীবনে তিনি অপরাধ বিভাগ সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও জাতিসংঘের আইভরিকোস্টে কাজ করেন।
নেত্রকোণায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের আগে তিনি স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকাতে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও নেত্রকোনা জেলার সুপার হিরো পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ সুপার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের র্আদর্শগত ভিন্নতা মানে জানা গেছে, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। তার সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের ফলে দোষীরা খুব দ্রুতই আইনের আওতায় চলে আসে এবং তাদের শাস্তিও হয়। তাঁর দায়িত্বরত এলাকার নেত্রকোনা জেলার, লোকজন বলেন, তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন , পুলিশ সুপার বলেন, আমার কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ সমান। একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ। আর আমরা যদি তাদের আশ্রয় এবং তাদের সমস্যা নিরসন না করি তাহলে কে করবে। পুলিশ জনতার এবং জনতা পুলিশের আমি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, আমি একটি কথা বলবো জনগণের উদ্দেশ্যে-আপনারা পুলিশ কে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধু হিসেবে জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতে ও থাকবে। জনগণের আন্তরিকৎ সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়। পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় সমগ্র নেত্রকোনা বাসী, গর্ববোধ সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় মুগ্ধ, বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় একজন করে পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদের মতো সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তিময় দেশ। তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাদাঁবাজ, দখলবাজ, মোবাইল উদ্ধার টাকাসহ , জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুক্ত। তারা আরো বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য। নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখভাগাভাগি করে নিতে। আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা। নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। “পুলিশ জনগণের বন্ধু” তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন। পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ নেত্রকোনা জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু হিসাবে জানেন। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সমান। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রেখে চলেছেন।
১১.১১.২০২২ ইং